নিজস্ব প্রতিবেদক :: নানা শঙ্কার পরও পুরোপুরি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে মহেশখালীর আলোচিত কালারমারছড়া ও বড়মহেশখালীতে। দুই ইউপির একটিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং আরেকটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
কালারমারছড়ায় ১৯৩৪২ ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তারেক বিন ওসমান শরীফ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকতারুজ্জামান বাবু পেয়েছেন মাত্র ৫৭৫৪ ভোট।
একইভাবে বড়মহেশখালীতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বর্তমান চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ বাবুল। তিনি ৮৪৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পেয়েছেন ৬৭৬২ এবং আরেক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশার পুত্র আবদুল্লাহ আল নিশান পেয়েছেন ৬৬০৭।
ইভিএমে ভোটগ্রহণ হওয়ায় সন্ধ্যার আগেই কেন্দ্র ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা হয়। নবম ধাপে কক্সবাজার জেলায় শুধুমাত্র এই দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বহু জল্পনা-কল্পনার পর কালারমারছড়ায় সরকারি দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন বর্তমান মেম্বার আকতারুজ্জামান বাবু ও সাংবাদিক হোবাইব সজীব। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে বিপুল ভোটে এই দুজনকে পরাজিত করেন তারেক শরীফ। দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি শুরু থেকে এই ইউনিয়ন নিয়ে পুরো উপজেলার মানুষের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে বড়মহেশখালীতে শক্তিমান হিসেবে শুরু থেকেই তিন প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই তৈরি হয়। তবে নৌকার প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন। কারণ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা ও সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহর বাড়ি সেখানে হওয়ায় প্রেস্টিজ ইস্যুটি বড় হয়ে দাঁড়ায়। এই ইউনিয়নের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারের বিপুল সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
পাঠকের মতামত: